Please wait...
This is logo

EIIN- 114634

নোটিশ
বনফুল ছাত্রাবাস এ দীপ্তিময় উৎসব , মাসিক বিতর্ক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ২০২৫

বনফুল ছাত্রাবাস এ দীপ্তিময় উৎসব , মাসিক বিতর্ক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ২০২৫

No Image Found

No Image Found

No Image Found

বনফুল ছাত্রাবাস কেবল একটি আবাসন নয়—এটি জীবনঘনিষ্ঠ শিক্ষা ও মূল্যবোধের শিক্ষালয়। পাঠচর্চা, খেলাধুলা, সহশিক্ষা কার্যক্রম এবং মানবিক উৎকর্ষের মেলবন্ধনে এখানকার শিক্ষার্থীরা গড়ে ওঠে আলোকিত নাগরিক হিসেবে।

এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনী শাহীন কলেজ, পাহাড়কাঞ্চনপুর এর অন্তঃকরণে অবস্থিত বনফুল ছাত্রাবাস আবারও হয়ে উঠল মননের প্রাঙ্গণ, শিল্পের মঞ্চ ও যুক্তির অঙ্গন। ২০২৫ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর , সন্ধ্যাবেলায় আয়োজিত হয় মাসিক বিতর্ক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, যা নিছক বিনোদনের গণ্ডি পেরিয়ে পৌঁছায় এক গভীর বৌদ্ধিক ও নন্দনতাত্ত্বিক উন্মেষে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মান্যবর অধ্যক্ষ এয়ার কমডোর মো. তাহিদুল ইসলাম, বিইউপি। তাঁর বুদ্ধিমত্তা, ভাবুক ও স্নেহশীল উপস্থিতি পুরো আয়োজনকে এনে দেয় এক অলঙ্ঘনীয় মর্যাদা। আরও উপস্থিত ছিলেন কলেজ অ্যাডজুট্যান্ট। তাঁরা ছিলেন এই আলোকিত সন্ধ্যার নিঃশব্দ সত্ত্বা, যাঁদের প্রেরণায় ছাত্রাবাসে ঘটে আত্মপ্রকাশের চমৎকার সম্ভাবনাগুলো।

কোচিং বা প্রাইভেট শিক্ষাগ্রহণ শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস ও কর্ম উদ্যোগ কমিয়ে দেয়।—এর উপর বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। 

মডারেটর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শব্দ ও যুক্তির বিশ্লেষণে সিদ্ধহস্ত জনাব মো.মতিউর রহমান, প্রভাষক (ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি )। তাঁর দক্ষ পরিচালনায় বিতর্কে যুক্তির পর যুক্তি জমে ওঠে যেন শব্দের জোয়ারে চেতনার উন্মেষ।

বিজয়ী: পক্ষ দল
 • ১ম স্থান: আবু সাইদ (১০ম, শাপলা, রোল-১৭)
 • ২য় স্থান: • আব্দুল্লাহ আল কাফি(৯ম,জুপিটার-বিজ্ঞান,রোল-৪৭)
 • ৩য় স্থান: • আবীর
 • (১২শ,,সঞ্চয়িতা-মানবিক, রোল-৪১৭) [দলনেতা]
শ্রেষ্ঠ বক্তা:পক্ষ দলের আবু সাইদ (১০ম, শাপলা, রোল-১৭)
বিতর্ক শেষে মান্যবর অধ্যক্ষ মহোদয় বলেন:
বিতর্ক শুধু  প্রতিযোগিতাই নয় বরং আত্মবিকাশের আলোকবর্তিকা।
বনফুল ছাত্রাবাস তার মনন ও মূল্যবোধে সত্যিকার অর্থেই আদর্শের প্রতিমূর্তি।
এখানে প্রতিটি সন্ধ্যা জ্ঞানের প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, প্রতিটি সকাল মানবিকতাবোধের সূর্যোদয়।

সবশেষে সাংস্কৃতিক পর্বে গান, নৃত্য, আবৃত্তি সহ নানান সৃজনশীল পরিবেশনায় হোস্টেলের শিক্ষার্থীরা উপস্থাপন করেন তাঁদের সুপ্ত প্রতিভা। প্রতিটি পরিবেশনায় ছিল সৌন্দর্যের ছোঁয়া, আবেগের ছন্দ, এবং শিল্পের পরিপূর্ণ ছায়া। শ্রোতাদের হৃদয় ছুঁয়ে যায় সেই স্নিগ্ধ মূর্ছনায়।